গল্পটি পড়ে আমার চোখের
জল ধরে রাখতে পারিনি
তাই আপনাদের সাথে সেয়ার করলাম...
রাত ১২ টা ৩০ মিনিট। হঠাৎ এক অনাকাংখিত ফোনের শব্দে মেঘের ঘুম ভেঙ্গে গেল। ফোন রিসিভ করে কোনো কথা না বলায় ওপার থেকে এক ছেলে কন্ঠ ভেসে এল। ছেলেটি বলল, কিরে সাইদ কথা বলিস না কেন? মেঘ আর চুপ থাকতে পারল না। সে বলে উঠল,এত রাতে কেন রং নাম্বারে কল দিয়ে বিরক্ত করছেন?
ছেলেটি একটু অবাক হয়ে বলল, এ দেখি মেয়ে কন্ঠ। মেঘ বলে উঠল কেন শুধু
জল ধরে রাখতে পারিনি
তাই আপনাদের সাথে সেয়ার করলাম...
রাত ১২ টা ৩০ মিনিট। হঠাৎ এক অনাকাংখিত ফোনের শব্দে মেঘের ঘুম ভেঙ্গে গেল। ফোন রিসিভ করে কোনো কথা না বলায় ওপার থেকে এক ছেলে কন্ঠ ভেসে এল। ছেলেটি বলল, কিরে সাইদ কথা বলিস না কেন? মেঘ আর চুপ থাকতে পারল না। সে বলে উঠল,এত রাতে কেন রং নাম্বারে কল দিয়ে বিরক্ত করছেন?
ছেলেটি একটু অবাক হয়ে বলল, এ দেখি মেয়ে কন্ঠ। মেঘ বলে উঠল কেন শুধু
শুধু বিরক্ত করছেন? আপনি আসলে কি চান? এতক্ষণে ছেলেটি বুঝতে পারল সে আসলে
ভুল নাম্বারে কল দিয়ে ফেলেছে। তখন সে বলল, দুঃখিত আমি আসলে আমার বন্ধু
সাইদকে ফোন দিয়েছিলাম কিন্তু কিভাবে যে আপনার ওখানে কল চলে গেল তা বুঝতে
পারলাম না।
প্লিজ কিছু মনে করবেন না। যাহোক আমি রাজ,খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করি, যদি কিছু মনে না করেন তাহলে কি আপনার পরিচয়টা তা জানতে পারি? মেঘ বলল, ঠিক আছে, আমি মেঘ আর ভাল থাকবেন, বিদায়। পরের দিন রাত দশটার সময় হঠাৎ মেঘের ঐ ছেলেটার কথা মনে পরল।
সে কোনকিছু না ভেবেই রাজকে কল দিয়ে ফেলল। রাজ মেঘের নাম্বারটা সেভ করে রাখায় মেঘকে খুব সহজেই চিনতে পারল। সে আর বিলম্ব না করে ফোন রিসিভ করল। এভাবেই তাদের কথা চলতে থাকল। দুজনের মাঝে বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। দুজনেই দুজনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পরল। ফোনে কথা বলার মাধ্যমেই তাদের মধ্যে এক ধরনের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এটাই বোধই ভালবাসা, একেই বলা হয় প্রেম।
এভাবেই চলল কিছুদিন। তারপর দুজনেই অনেক ভেবে চিনতে সিদ্ধান্ত নিল যে তাদের প্রথম সাক্ষাৎ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারী, “ভালবাসা দিবসে”। যেই কথা সেই কাজ। দুজনেই অপেক্ষা করতে থাকল সেই দিনটির জন্য। অবশেষে তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আসল সেই দিন। মেঘ থাকত ময়মনসিংহে। পড়াশুনা করতো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে। তাই রাজ সুদূর খুলনা থেকে ময়মনসিংহ এর উদ্দেশ্যে রওনা দিল।
দীর্ঘ ৮ঘণ্টা যাত্রার পর রাজ ময়মনসিংহে পৌঁছল। মেঘের কথা মত রাজ ময়মনসিংহ পার্কে চলে গেল এবং সেখানেই রাজ ও মেঘের অপেক্ষার অবসান ঘটল। তারা সেখানে ২ঘন্টা একসাথে ছিল। তারপর রাজ মেঘের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আবার খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করল। কিন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাস পথে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় রাজের ব্যাগ,মোবাইল কোথায় পড়েছিল এইটুকু জ্ঞানও ছিল না। মুমূর্ষু অবস্থাই খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়।
যতক্ষণের জন্য জ্ঞান ফিরেছিল রাজ শুধু একটি নামই বলেছিল। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে তার মায়ের হাত ধরে বলেছিল মা আমি মেঘকে একটি মুহূর্তের জন্য দেখতে চাই। কিন্ত তার সে আশা পূরণ হল না। রাতে মেঘ রাজকে ফোন দেয় কিন্ত রাজের ফোন বন্ধ পায়। তার মনে অজানা এক আশংকা হতে থাকে। রাজ কি তাকে পছন্দ করে নি, নাকি কোনো বিপদ হল ওর। এভাবে মেঘ প্রায় প্রতিরাতই রাজকে ফোন দেয়। কিন্ত কোন সাড়া মিলল না রাজের। এভাবেই মেঘের রাজহীন নিঃসঙ্গ জীবন কাটতে থাকে। আর ওর মনে জমা হতে থাকে প্রচণ্ড চাপা অভিমান। কেটে যায় পুরো একটি বছর।
আবার ফিরে আসে সেই ১৪ ফেব্রুয়ারী। রাজকে খুব মনে পড়তে থাকে মেঘের। কি মনে করে যেন মেঘ হঠাৎ রাজের সেই নাম্বারে ফোন দেয়। কি আশ্চর্য আজ হঠাৎ রাজের সেই নাম্বারে রিং ঢুকল। ফোন রিসিভ করার সাথে সাথেই মেঘ রেগে আগুন হয়ে প্রচণ্ড বকা শুরু করল রাজকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু যখন মেঘ বকা দিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ল তখন ওপার থেকে ভেসে আসল, আপনি ভুল করছেন আমি রাজ নই, রাজের বন্ধু সাইদ। তখন মেঘ বলে উঠল, এই সিম তো রাজের কাছে থাকার কথা,আপনার কাছে কিভাবে এল?
তখন রাজের বন্ধু সাইদ মেঘকে শোনাল সেই হৃদয়বিদারক ঘটনা। মেঘ আর নিজেকে ধরে রাখতে পারল না। ফোনের লাইনটা কেটে দিল। সে প্রচন্ড কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। রাজের উপর মেঘের চাপা অভিমানগুলো নিমেষেই শেষ হয়ে গেল। এভাবেই মেঘ নামের মেয়েটির জীবন চলতে লাগল শুধুই শূন্যতার মধ্য দিয়ে........
প্লিজ কিছু মনে করবেন না। যাহোক আমি রাজ,খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করি, যদি কিছু মনে না করেন তাহলে কি আপনার পরিচয়টা তা জানতে পারি? মেঘ বলল, ঠিক আছে, আমি মেঘ আর ভাল থাকবেন, বিদায়। পরের দিন রাত দশটার সময় হঠাৎ মেঘের ঐ ছেলেটার কথা মনে পরল।
সে কোনকিছু না ভেবেই রাজকে কল দিয়ে ফেলল। রাজ মেঘের নাম্বারটা সেভ করে রাখায় মেঘকে খুব সহজেই চিনতে পারল। সে আর বিলম্ব না করে ফোন রিসিভ করল। এভাবেই তাদের কথা চলতে থাকল। দুজনের মাঝে বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। দুজনেই দুজনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পরল। ফোনে কথা বলার মাধ্যমেই তাদের মধ্যে এক ধরনের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এটাই বোধই ভালবাসা, একেই বলা হয় প্রেম।
এভাবেই চলল কিছুদিন। তারপর দুজনেই অনেক ভেবে চিনতে সিদ্ধান্ত নিল যে তাদের প্রথম সাক্ষাৎ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারী, “ভালবাসা দিবসে”। যেই কথা সেই কাজ। দুজনেই অপেক্ষা করতে থাকল সেই দিনটির জন্য। অবশেষে তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আসল সেই দিন। মেঘ থাকত ময়মনসিংহে। পড়াশুনা করতো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে। তাই রাজ সুদূর খুলনা থেকে ময়মনসিংহ এর উদ্দেশ্যে রওনা দিল।
দীর্ঘ ৮ঘণ্টা যাত্রার পর রাজ ময়মনসিংহে পৌঁছল। মেঘের কথা মত রাজ ময়মনসিংহ পার্কে চলে গেল এবং সেখানেই রাজ ও মেঘের অপেক্ষার অবসান ঘটল। তারা সেখানে ২ঘন্টা একসাথে ছিল। তারপর রাজ মেঘের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আবার খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করল। কিন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাস পথে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় রাজের ব্যাগ,মোবাইল কোথায় পড়েছিল এইটুকু জ্ঞানও ছিল না। মুমূর্ষু অবস্থাই খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়।
যতক্ষণের জন্য জ্ঞান ফিরেছিল রাজ শুধু একটি নামই বলেছিল। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে তার মায়ের হাত ধরে বলেছিল মা আমি মেঘকে একটি মুহূর্তের জন্য দেখতে চাই। কিন্ত তার সে আশা পূরণ হল না। রাতে মেঘ রাজকে ফোন দেয় কিন্ত রাজের ফোন বন্ধ পায়। তার মনে অজানা এক আশংকা হতে থাকে। রাজ কি তাকে পছন্দ করে নি, নাকি কোনো বিপদ হল ওর। এভাবে মেঘ প্রায় প্রতিরাতই রাজকে ফোন দেয়। কিন্ত কোন সাড়া মিলল না রাজের। এভাবেই মেঘের রাজহীন নিঃসঙ্গ জীবন কাটতে থাকে। আর ওর মনে জমা হতে থাকে প্রচণ্ড চাপা অভিমান। কেটে যায় পুরো একটি বছর।
আবার ফিরে আসে সেই ১৪ ফেব্রুয়ারী। রাজকে খুব মনে পড়তে থাকে মেঘের। কি মনে করে যেন মেঘ হঠাৎ রাজের সেই নাম্বারে ফোন দেয়। কি আশ্চর্য আজ হঠাৎ রাজের সেই নাম্বারে রিং ঢুকল। ফোন রিসিভ করার সাথে সাথেই মেঘ রেগে আগুন হয়ে প্রচণ্ড বকা শুরু করল রাজকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু যখন মেঘ বকা দিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ল তখন ওপার থেকে ভেসে আসল, আপনি ভুল করছেন আমি রাজ নই, রাজের বন্ধু সাইদ। তখন মেঘ বলে উঠল, এই সিম তো রাজের কাছে থাকার কথা,আপনার কাছে কিভাবে এল?
তখন রাজের বন্ধু সাইদ মেঘকে শোনাল সেই হৃদয়বিদারক ঘটনা। মেঘ আর নিজেকে ধরে রাখতে পারল না। ফোনের লাইনটা কেটে দিল। সে প্রচন্ড কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। রাজের উপর মেঘের চাপা অভিমানগুলো নিমেষেই শেষ হয়ে গেল। এভাবেই মেঘ নামের মেয়েটির জীবন চলতে লাগল শুধুই শূন্যতার মধ্য দিয়ে........
উত্তরমুছুনবাংলায় ভালো ভালো হাঁসির গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
বাংলায় ভূতের গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
বাংলায় প্রেমের গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন