গাড়ি থেকে যখন স্টেশনে নামি রাত তখন ঠিক ১টা। যাত্রিদের স্টেশনে নামিয়ে
দিয়ে রেল গাড়িটি আবার চলতে লাগলো। সঙ্গে থাকা ব্যাগটা কাঁদে ঝুলিয়ে স্টেশন
মাস্টারের রুমের দিকে গেলাম। ভিতরে ঢুকতে দেখি সেখানে একজন লোক বসে আছে।
বুঝতে পারলাম উনি স্টেশন মাস্টার। তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম এখান থেকে
রসুলপুর কত দূর?
তিনি উত্তর দিলেন এখান থেকে রসুলপুর ৬ কি:মি রাস্তা। কিন্তু এত রা
তিনি উত্তর দিলেন এখান থেকে রসুলপুর ৬ কি:মি রাস্তা। কিন্তু এত রা
তে
এখান থেকে রসুলপুর যাওয়ার কোন ভ্যান পাওয়া যাবেনা। তাই রাতটা কষ্ট করে
এখানে কাটাতে হবে। কথা শেষ করে তার রুম থেকে বের হয়ে গেলাম। বাইরে এসে দেখি
চারপাশটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা কোন মানুষ-জন নেই। পাশে যাত্রিদের ওয়েটিং রুম।
সেখানে গিয়ে একটি চেয়ারে বসলাম। তারপরে চিন্তা করলাম কোন মতে আজ রাতটা
এখানে কাটিয়ে কাল সকালের দিকে রসুলপুরের উদেশ্যে রওনা হব। দেয়ালে ঝুলে থাকা
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত দেড়টা বাজে। চোখে একটু ঘুমের ভাব। তাই চোখ বুজে
বসে রইলাম। হঠাৎ এমন সময় একজন লোকের আগমন। এসে জিগেস করে স্যার কৈই
যাইবেন?
-রসুলপুর যাব। কিন্তু তুমি কে?
-আমার নাম মতি এই এলাকার ভ্যান চালক।
-ও তাই নাকি। আচ্ছা তুমি কি রসুলপুর যাবে?
-হ যামু স্যার চলেন।
মনে মনে চিন্তা করলাম কষ্ট করে স্টেশনে রাত
কাটার চেয়ে গন্তব্যে চলে যাওয়া ভাল।তাই ব্যাগটা হাতে নিয়ে মতিকে বলি চল।
কিন্তু ভ্যান গাড়ির সামনে এসে দেখি আগে থেকে একজন লোক তার উপর বসে আছে।লোকটার সমস্থ শরীল একটা চাদর দিয়ে ঢাকা। চেহারাটা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছেনা ।আমি কোন কথা না বলে তার পাশে গিয়ে বসলাম। তারপরে মতি ভ্যান চালাতে লাগলো। কিছু দূর আসার পরে আমরা গিয়ে একটি মাটির রাস্তায় উঠলাম। সেই রাস্তার দুপাশে ছিল বিস্ততৃ ধানক্ষেত। যত দূর চোখ যায় শুধু পাঁকা ধানের হাসি। মাঝে মাঝে রাস্তার দুই ধারে হালকা কিছু গাছ দেখা যাচ্ছে। আর খরা মৌসুমে চাষাবাদের জন্য একপাশে একটি খাল খনন করা হয়েছে। আকাশে আজ হালকা চাঁদের আলো তার পরেও চারপাশটা বেশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। আশেপাশে কোন জনবসতি নেই তাই চারদিকে শুধু ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ ছাড়া কিছুই শোনা যাচ্ছেনা।মাঝে মাঝে দূর থেকে একটি খেক শেয়ালের ডাক কানে ভেসে আসছে। কার্তিক মাসের শেষের দিকে তাই একটু শীত পড়ছে। উত্তরের হিমের হাওয়া মাঝে মাঝে শরীলে কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে। ব্যাগ থেকে তখন জেকেটটা নিয়ে গায়ে জড়িয়ে নিলাম।
একটু পরে মতি জিগেস করে "স্যার রসুলপুর আপনার কে আছ?
-রসুলপুর আমার এক বন্ধুর বাড়ি।
-ও আচ্ছা
মাঝে পথে আসার পরে হঠাত্ করে মতি বলে " স্যার আপনারা বসেন আমি একটু আসি।
বুঝতে পারলাম মতি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাচ্ছে। তাই কোন কিছু বললাম না।
মতি পিছনের দিকে একটু দূরে গিয়ে রাস্তা থেকে নিচে নেমে যায়। তাকে আর দেখা যাচ্ছেনা। এদিকে অনেকক্ষন বসে থেকে আমার কোমরে ব্যথা হয়ে গেছে। তাই ভ্যান গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার মধ্যে একটু হাটাচলা করতে লাগি।একটুপরে খেয়াল করলাম অনেক সময় হয়ে গেছে কিন্তু মতি ফিরে আসছেনা। আমি তখন তার নাম ধরে ডাকতে লাগি কিন্তু কোন উত্তর আসলো না। আমার মাঝে কেমন একটা টেনশন কাজ করছে অথচ পাশে থাকা লোকটি কোন শব্দ করছেনা। শুধু চুপচাপ বসে আছে। আমি তখন ব্যাগ থেকে টর্চলাইটটি নিয়ে ঐ দিকে গেলাম। কিন্তু কিছুই দেখতে পেলাম না। আস্তে আস্তে আরো সামনের দিকে গেলাম। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম খালের পাশে কার যেন লাশ পড়ে আছে। কাছে গিয়ে দেখি এটি মতির লাশ। কে যেন তাকে গলাকেটে হত্যা করেছে। আর তার রক্ত গড়িয়ে গড়িয়ে খালের জলে মিশে যাচ্ছে।
ঠিক এমন সময় লক্ষ্য করলাম খালের ঐ পাশের ধান ক্ষেতের ভেতর থেক কিছু একটার শব্দ হচ্ছে। এক সময় সেই শব্দের তীব্রতা বাড়তে লাগলো। বুঝতে পারলাম ধান ক্ষেতের ভিতর দিয়ে কিছু একটা এদিকে আসছে। ভয়ে তখন দৌড় দিয়ে ভ্যান গাড়ির সামনে চলে আসি। কিন্তু এখানে এসে দেখি চাদর গায়ে দেয়া সে লোকটা নেই। আমি চারপাশ ভাল করে দেখলাম কিন্তু কোথাও লোকটিকে দেখতে পেলাম না। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম দূর থেকে কতগুলো কুকুর শব্দ করতে করতে এদিকে আসছে। কুকুর গুলোকে দেখে ভয়ে আমি দ্রুত ভ্যানের উপর উঠে গেলাম। কুকুর গুলো ভ্যান গাড়ির সামনে এসে কান্নার সুরে ডাকতে শুরু করে। মনে হচ্ছে কুকুর গুলো কিছু একটা দেখে ভয় পেয়েছে ।তাই ঐ দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম। এমন সময় খেয়াল করলাম ঐ দিকে নিচের জমি থেকে কিছু একটা রাস্তার উপরে উঠেছে। হাতে থাকা টর্চলাইটটি তখন ঐ দিকে ধরলাম। দেখি রাস্তার উপর এক বৃদ্ধ মানুষ দাড়িয়ে আছে। মুখে আর পোষাকে রক্ত মাখা দাগ। চোখ যেন জ্বল জ্বল করছে আর এক দৃষ্টিতে এদিকে তাকিয়ে আছে। বৃদ্ধ লোকটিকে দেখে কুকুর গুলো ভয়ে সামনের দিকে দৌড় দিল। আমি তখন কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। চিন্তা করলাম ভাগ্যে যা থাকে থাকুক ব্যাগটা নিয়ে সামনের দিকে দৌড় দেব। তাই ব্যাগটি হাতে নিয়ে দিলাম একটা দৌড়। কিছু দূরে আসার পরে খেয়াল করলাম সামনে কেউ একজন হেটে যাচ্ছে। দ্রুত তার কাছে গেলাম। কাছে গিয়ে দেখি উনি আমার পাশে বসা সেই লোকটি। লোকটিকে দেখে মনে কিছুটা সাহস পেলাম। তাকে বলি ভাই আপনি হেটে চলে আসলেন? ঐ দিকে কে যেন মতিকে খুন করে পেলে গেছে।
লোকটি তখন বলে "কি কন ভাই!
এই প্রথম লোকটির গলার আওয়াজ আমি শুনতে পেলাম। কিন্তু আওয়াজটি কেমন যানি অতি পরিচিত মনে হচ্ছে। মনের মাঝে তাই একটু খটকা লাগলো।
লোকটিকে তখন বলি "ভাই অনেকক্ষন আমরা একসাথে আছি কিন্তু এখন পর্যন্ত আপনার চেহারাটা দেখিনি। আপনে মুখের চাদরটা একটু সরাবেন। আমার কথা শেষ হওয়ার পরে লোকটা তার মুখ থেকে চাদরটা সরালেন। চেহারা দেখে আমি হতবাগ হয়ে গেলাম। এতো দেখি মতি! কিন্তু মৃত মানুষ জিন্দা হল কিভাবে। ভয়ে তখন আমার মুখ থেকে আর কোন শব্দ বের হচ্ছিল না। এক সময় মনে হচ্ছে শরীলটা কেমন দূর্বল হয়ে আসছে আর আমি জ্ঞান হারাতে যাচ্ছি। তারপরে আর কিছু মনে নাই।
হুশ আসার পরে দেখি আমি বিছানায় শোয়া আর আমার বন্ধু ও তার পরিবার আমার চারপাশে বসে আছে। আর কেউ একজন আমার মাথায় পানি ঢালছে। একটু পরে সুস্থ হয়ে সব ঘটনা তাদের খুলে বলি। ঘটনা শুনে তারা সবাই অবাক কারন মতি ড্রাইভার একবছর আগেই মারা গেছে। আর কেন যেন তাকে ঐ রাস্তার পাশে খুন করে ফেলে গেছিলো।
-রসুলপুর যাব। কিন্তু তুমি কে?
-আমার নাম মতি এই এলাকার ভ্যান চালক।
-ও তাই নাকি। আচ্ছা তুমি কি রসুলপুর যাবে?
-হ যামু স্যার চলেন।
মনে মনে চিন্তা করলাম কষ্ট করে স্টেশনে রাত
কাটার চেয়ে গন্তব্যে চলে যাওয়া ভাল।তাই ব্যাগটা হাতে নিয়ে মতিকে বলি চল।
কিন্তু ভ্যান গাড়ির সামনে এসে দেখি আগে থেকে একজন লোক তার উপর বসে আছে।লোকটার সমস্থ শরীল একটা চাদর দিয়ে ঢাকা। চেহারাটা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছেনা ।আমি কোন কথা না বলে তার পাশে গিয়ে বসলাম। তারপরে মতি ভ্যান চালাতে লাগলো। কিছু দূর আসার পরে আমরা গিয়ে একটি মাটির রাস্তায় উঠলাম। সেই রাস্তার দুপাশে ছিল বিস্ততৃ ধানক্ষেত। যত দূর চোখ যায় শুধু পাঁকা ধানের হাসি। মাঝে মাঝে রাস্তার দুই ধারে হালকা কিছু গাছ দেখা যাচ্ছে। আর খরা মৌসুমে চাষাবাদের জন্য একপাশে একটি খাল খনন করা হয়েছে। আকাশে আজ হালকা চাঁদের আলো তার পরেও চারপাশটা বেশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। আশেপাশে কোন জনবসতি নেই তাই চারদিকে শুধু ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ ছাড়া কিছুই শোনা যাচ্ছেনা।মাঝে মাঝে দূর থেকে একটি খেক শেয়ালের ডাক কানে ভেসে আসছে। কার্তিক মাসের শেষের দিকে তাই একটু শীত পড়ছে। উত্তরের হিমের হাওয়া মাঝে মাঝে শরীলে কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে। ব্যাগ থেকে তখন জেকেটটা নিয়ে গায়ে জড়িয়ে নিলাম।
একটু পরে মতি জিগেস করে "স্যার রসুলপুর আপনার কে আছ?
-রসুলপুর আমার এক বন্ধুর বাড়ি।
-ও আচ্ছা
মাঝে পথে আসার পরে হঠাত্ করে মতি বলে " স্যার আপনারা বসেন আমি একটু আসি।
বুঝতে পারলাম মতি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাচ্ছে। তাই কোন কিছু বললাম না।
মতি পিছনের দিকে একটু দূরে গিয়ে রাস্তা থেকে নিচে নেমে যায়। তাকে আর দেখা যাচ্ছেনা। এদিকে অনেকক্ষন বসে থেকে আমার কোমরে ব্যথা হয়ে গেছে। তাই ভ্যান গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার মধ্যে একটু হাটাচলা করতে লাগি।একটুপরে খেয়াল করলাম অনেক সময় হয়ে গেছে কিন্তু মতি ফিরে আসছেনা। আমি তখন তার নাম ধরে ডাকতে লাগি কিন্তু কোন উত্তর আসলো না। আমার মাঝে কেমন একটা টেনশন কাজ করছে অথচ পাশে থাকা লোকটি কোন শব্দ করছেনা। শুধু চুপচাপ বসে আছে। আমি তখন ব্যাগ থেকে টর্চলাইটটি নিয়ে ঐ দিকে গেলাম। কিন্তু কিছুই দেখতে পেলাম না। আস্তে আস্তে আরো সামনের দিকে গেলাম। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম খালের পাশে কার যেন লাশ পড়ে আছে। কাছে গিয়ে দেখি এটি মতির লাশ। কে যেন তাকে গলাকেটে হত্যা করেছে। আর তার রক্ত গড়িয়ে গড়িয়ে খালের জলে মিশে যাচ্ছে।
ঠিক এমন সময় লক্ষ্য করলাম খালের ঐ পাশের ধান ক্ষেতের ভেতর থেক কিছু একটার শব্দ হচ্ছে। এক সময় সেই শব্দের তীব্রতা বাড়তে লাগলো। বুঝতে পারলাম ধান ক্ষেতের ভিতর দিয়ে কিছু একটা এদিকে আসছে। ভয়ে তখন দৌড় দিয়ে ভ্যান গাড়ির সামনে চলে আসি। কিন্তু এখানে এসে দেখি চাদর গায়ে দেয়া সে লোকটা নেই। আমি চারপাশ ভাল করে দেখলাম কিন্তু কোথাও লোকটিকে দেখতে পেলাম না। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম দূর থেকে কতগুলো কুকুর শব্দ করতে করতে এদিকে আসছে। কুকুর গুলোকে দেখে ভয়ে আমি দ্রুত ভ্যানের উপর উঠে গেলাম। কুকুর গুলো ভ্যান গাড়ির সামনে এসে কান্নার সুরে ডাকতে শুরু করে। মনে হচ্ছে কুকুর গুলো কিছু একটা দেখে ভয় পেয়েছে ।তাই ঐ দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম। এমন সময় খেয়াল করলাম ঐ দিকে নিচের জমি থেকে কিছু একটা রাস্তার উপরে উঠেছে। হাতে থাকা টর্চলাইটটি তখন ঐ দিকে ধরলাম। দেখি রাস্তার উপর এক বৃদ্ধ মানুষ দাড়িয়ে আছে। মুখে আর পোষাকে রক্ত মাখা দাগ। চোখ যেন জ্বল জ্বল করছে আর এক দৃষ্টিতে এদিকে তাকিয়ে আছে। বৃদ্ধ লোকটিকে দেখে কুকুর গুলো ভয়ে সামনের দিকে দৌড় দিল। আমি তখন কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। চিন্তা করলাম ভাগ্যে যা থাকে থাকুক ব্যাগটা নিয়ে সামনের দিকে দৌড় দেব। তাই ব্যাগটি হাতে নিয়ে দিলাম একটা দৌড়। কিছু দূরে আসার পরে খেয়াল করলাম সামনে কেউ একজন হেটে যাচ্ছে। দ্রুত তার কাছে গেলাম। কাছে গিয়ে দেখি উনি আমার পাশে বসা সেই লোকটি। লোকটিকে দেখে মনে কিছুটা সাহস পেলাম। তাকে বলি ভাই আপনি হেটে চলে আসলেন? ঐ দিকে কে যেন মতিকে খুন করে পেলে গেছে।
লোকটি তখন বলে "কি কন ভাই!
এই প্রথম লোকটির গলার আওয়াজ আমি শুনতে পেলাম। কিন্তু আওয়াজটি কেমন যানি অতি পরিচিত মনে হচ্ছে। মনের মাঝে তাই একটু খটকা লাগলো।
লোকটিকে তখন বলি "ভাই অনেকক্ষন আমরা একসাথে আছি কিন্তু এখন পর্যন্ত আপনার চেহারাটা দেখিনি। আপনে মুখের চাদরটা একটু সরাবেন। আমার কথা শেষ হওয়ার পরে লোকটা তার মুখ থেকে চাদরটা সরালেন। চেহারা দেখে আমি হতবাগ হয়ে গেলাম। এতো দেখি মতি! কিন্তু মৃত মানুষ জিন্দা হল কিভাবে। ভয়ে তখন আমার মুখ থেকে আর কোন শব্দ বের হচ্ছিল না। এক সময় মনে হচ্ছে শরীলটা কেমন দূর্বল হয়ে আসছে আর আমি জ্ঞান হারাতে যাচ্ছি। তারপরে আর কিছু মনে নাই।
হুশ আসার পরে দেখি আমি বিছানায় শোয়া আর আমার বন্ধু ও তার পরিবার আমার চারপাশে বসে আছে। আর কেউ একজন আমার মাথায় পানি ঢালছে। একটু পরে সুস্থ হয়ে সব ঘটনা তাদের খুলে বলি। ঘটনা শুনে তারা সবাই অবাক কারন মতি ড্রাইভার একবছর আগেই মারা গেছে। আর কেন যেন তাকে ঐ রাস্তার পাশে খুন করে ফেলে গেছিলো।
ভালো গল্প
উত্তরমুছুন